প্রথম ধাপে ২৪ পৌরসভায় ভোটগ্রহণ চলছে। আজ সোমবার সকাল ৮টা থেকে শুরু হয়েছে ভোটগ্রহণ। বিরতিহীনভাবে চলবে বিকাল ৪টা পর্যন্ত। সবকটি পৌরসভায় ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহার করে ভোট নেয়া হচ্ছে।
২৪ পৌরসভার মধ্যে ২৩টিতেই বড় এ দুদলের প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। নির্বাচন ঘিরে স্থানীয় ভোটারদের মধ্যে উৎসবমুখর পরিবেশ বিরাজ করছে। পাশাপাশি রয়েছে শঙ্কাও।
বেশ কয়েকটি পৌরসভায় প্রতিদ্বন্দ্বী মেয়র ও কাউন্সিলর সমর্থকদের মধ্যে গত কয়েক দিনের সংঘর্ষ এ শঙ্কা বাড়িয়ে দিয়েছে। যদিও নির্বাচন কমিশন প্রেস বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানিয়েছে- সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে সব প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে।
ইসির দেয়া তথ্যানুযায়ী, ২৪ পৌরসভায় মেয়র পদে ৯৩, সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে ২৬৬ এবং সাধারণ কাউন্সিলর পদে ৮০১ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। প্রথম ধাপের এ নির্বাচনী লড়াইয়ে অংশ নিয়েছে আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জাতীয় পার্টি, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ও জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ।
এবার পৌরসভা নির্বাচনে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়নি। নির্বাচন উপলক্ষে ভোটের দিন যেসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও স্থাপনায় ভোটকেন্দ্র স্থাপন করা হবে, সেগুলো বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
২৪ পৌরসভায় ভোটকেন্দ্র রয়েছে ৩১৯টি। মোট ভোটার সংখ্যা ৬ লাখ ২৪ হাজার ৮০৭ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ৩ লাখ ৭ হাজার ৩৭ এবং নারী ভোটার ৩ লাখ ১৭ হাজার ৭৭০ জন। ভোটের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ১ হাজার ২৭৬ পুলিশ, ২ হাজার ৮৭১ আনসার, ৭২টি র্যা বের টিম, ৫০ প্লাটুন বিজিবি, মোবাইল ফোর্স ৭২টি এবং স্ট্রাইকিং ফোর্স ২৪টি মোতায়েন রয়েছে।
যে ২৪ পৌরসভায় আজ নির্বাচন চলছে- কুড়িগ্রামের কুড়িগ্রাম সদর, পঞ্চগড় জেলার পঞ্চগড় সদর, দিনাজপুরের ফুলবাড়ী, ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জ, রংপুরের বদরগঞ্জ, রাজশাহীর পুঠিয়া ও কাটাখালী, সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর, চুয়াডাঙ্গার চুয়াডাঙ্গা সদর, খুলনার চালনা, পাবনার চাটমোহর, কুষ্টিয়ার খোকসা, বরগুনার বেতাগী, ময়মনসিংহের গফরগাঁও, নেত্রকোনার মদন, পটুয়াখালীর কুয়াকাটা, বরিশালের উজিরপুর ও বাকেরগঞ্জ, ঢাকার ধামরাই, মানিকগঞ্জের মানিকগঞ্জ সদর, সুনামগঞ্জের দিরাই, মৌলভীবাজারের বড়লেখা চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড এবং হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জ।